ঈদে অনেকেই শাড়ি পরতে পছন্দ করেন। যেহেতু এখন গরম, তাই হালকা-পাতলা শাড়ি পরা উচিত। এতে সারাদিন কুল থাকা যাবে। বর্তমানে শাড়ি পরার ক্ষেত্রেও নানা ধরনের ফিউশন আনা যায়।
এক শাড়ি দিয়ে বিভিন্ন লুক ক্রিয়েট করা যায় সহজেই। একঘেয়েমি কুচি দিয়ে আঁচল ছেড়ে শাড়ি পরার কৌশল পাল্টে এবার না হয় কয়েকটি দুর্দান্ত উপায়ে শাড়ি পরার চেষ্টা করুন।
এক শাড়ি দিয়েই আপনি ওয়েস্টার্ন লুক ক্রিয়েট করতে পারবেন আবার ফিউশানও হবে সুন্দির মতো। তাহলে আর দেরি কেন, চলুন জেনে নেওয়া যাক শাড়ি পরার দুর্দান্ত কয়েকটি উপায় সম্পর্কে-
>> বাঙালি স্টাইলের শাড়ি পরার ধরন এটি। দাদি-নানিদেরকে আপনি হয়তো এভাবেই শাড়ি পরতে দেখেছেন! পুরোনো হলেও এই লুকের কদর এখনও আছে। যারা শাড়ি পরা ঝামেলার মনে করেন; তারা এভাবে শাড়ি পরতে পারেন। এর সঙ্গে স্লিভলেস বা ম্যাগি হাতার ব্লাউজ পরতে পারেন।
>> বিয়ের অনুষ্ঠানে সাধারণত সামনে আঁচল দিয়ে অনেকেই শাড়ি পড়ে থাকেন। এটাও বাংলা-স্টাইলের শাড়ি পরার ধরন। এই লুকে ফিউশান আনতে আপনি কোমড়ে একটি বেল্ট পরতে পারেন। স্বাভাবিকভাবেই কুচি দিয়ে শাড়ি পরে আঁচল ঘুরিয়ে সামনে এনে কোমড়ে বেল্ট পরলেই আপনি অনন্য।
>> ওড়না গলায় পেঁচানোর মতো স্টাইলেও কিন্তু শাড়ি পড়তে পারেন। শাড়ির আচল সামনে টেনে গলায় পেঁচিয়ে নিলেই সুন্দর একটি ফিউশান স্টাইল তৈরি হবে। জর্জেট, সাটিন এবং শিফন শাড়িতে এই লুক দুর্দান্ত দেখায়।
>> যারা ফিউশান স্টাইল করতে পছন্দ করেন; তারা অবশ্যই শাড়িকে এভাবে ধুতির মতো করে পরতে পারেন। এক্ষেত্রেও শাড়ির আঁচল কাঁধের একপাশ দিয়ে সামনে রাখা হয়। আর ধুতির মতো স্টাইলে শাড়ি পরা হয়ে থাকে।
>> শাড়ির ক্লাসিক স্টাইল এটি। কুচি দিয়ে আঁচল তুলে শাড়ি পরার এই কৌশল সবারই জানা। তবে এই লুকে ফিউশান আনতে স্লিভলেস বা একটু গর্জিয়াস ব্লাউজ পরতে পারে। তাহলে পুরো ঈদের লুকটাই চেঞ্জ হয়ে যাবে। আপনাকে সবার থেকে আলাদা লাগবে।
আরো দেখুন:You cannot copy content of this page